নিজস্ব প্রতিনিধি দীঘিনালা :: দীঘিনালায় অস্রসহ ইউপিডিএফ সংগঠক আটক এবং চিকিৎসাধীন মৃত্যুর ঘটনার প্রতিবাদে  গাড়ীতে অগ্নিসংযোগ করেছে ইউপিডিএফ কর্মীরা| এসময় ঢাকাগামী যাত্রীবাহী বাস ও দুটি ট্রাক্টর অগ্নিসংযোগ করে| পরে ফায়ার সার্ভিস আধা ঘন্টা চেষ্টার পর আগুন নিয়ন্ত্রণে আনে|

জানাযায় দীঘিনালায়  চাঁদাবাজি, হত্যা, খুন ও অস্ত্রসহ বিভিন্ন মামলার পলাতক আসামির মৃত্যু হয়েছে| তার নাম মিলন চাকমা (৪৪)| সে ইউপিডিএফ (ইউনাইটেড পিপলস ডেমোক্রেটিক ফ্রন্ট) এর উপজেলা সংগঠক| গত মঙ্গলবার আটক করার পর হৃদরোগে আক্রান্ত হয়ে দীঘিনালা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে তার মৃত্যু হয়|

এদিকে ঘটনার প্রতিবাদে দীঘিনালা বাবুছড়া সড়কে একটি যাত্রীবাহী বাস(শান্তি) এবং ২টি ট্রাক্টরে অগ্নিসংযোগে করা হয়| পরে ফায়ার সার্ভিস ঘটনাস্থলে গিয়ে আগুন নিয়ন্ত্রণে আনে|

এব্যাপারে দীঘিনালা ফায়ার সার্ভিসের  স্ট্যাশন অফিসার নুরের নবী জানান, ঘটনার খবর পেয়ে আধা ঘন্টা চেষ্টার পর আগুন নিয়ন্ত্রণে আনি|

উল্লেখ্য গত মঙ্গলবার (১৫ মার্চ) ভোরে দীঘিনালা উপজেলার বাবুছড়া ইউনিয়নের  বাঁশঢালা নামক স্থান থেকে আইন-শৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর একটি টহল দল তাকে অস্ত্রসহ গ্রেফতার করে।

এসময় তার বাড়ি তল্লাশি করে একটি পিস্তল, ৪ রাউন্ড গুলি, তিনটি অবৈধ ওয়াকিটকি, আটটি মোবাইল, একটি ল্যাপটপ ও একটি পোর্টেবল জেনারেটর উদ্ধার করা হয়।

 সূত্রে জানা যায়, মিলন চাকমা দীর্ঘদিন যাবৎ দীঘিনালা এলাকায় চাঁদাবাজি, হত্যা-খুন, বসতবাড়ি পুড়িয়ে দেয়া ও রাষ্ট্রবিরোধী বিভিন্ন কর্মকাণ্ডের সাথে ওতপ্রোতভাবে জড়িত ছিল।

তার বিরুদ্ধে দীঘিনালা থানায় জিআর নং-০০৫/১৫ ধারা ৩০২/১৫, জি আর নং-৪৫৮/১৮ ধারা ১৪৩/৩২৩/ ৩৮৩/ ০৪৯/৫০৬ এবং জিআর নং- ২১৭/১১ ধারা ১৯(a)- ১৮৭৮ অনুযায়ী তিনটি মামলা চলমান রয়েছে।

আরও জানা যায়, গ্রেফতার পরবর্তি সময়ে মিলন চাকমাকে দীঘিনালায় নিয়ে আসার পথে সে অসুস্থ বোধ করলে তাকে সরাসরি উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে চিকিৎসার জন্য আনা হয়।

এসময় চিকিৎসারত অবস্থায় সকাল ৯টায় মিলন চাকমা দীঘিনালা উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে কর্তব্যরত চিকিৎসকের ভাষ্যমতে হৃদরোগে আক্রান্ত হয়ে মৃত্যু হয়।

দীঘিনালা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের কর্তব্যরত উপ সহকারী কমিউনিটি মেডিক্যাল অফিসার ডাঃ রাসেদুল আলম জানান, আটক করার পর সে অসুস্থ অনুভব করলে হাসপাতালে আনা হয়| পরে সে চিকিৎসাধীন অবস্থায় সকাল ৯টায় মৃত্যুবরণ করেন|