দেশের স্বাধীনতা ও গণতন্ত্র আ.লীগের হাতেই নিরাপদ: ওবায়দুল কাদের

নিউজ ডেস্ক- আওয়ামী লীগ সাধারণ সম্পাদক এবং সড়ক পরিবহণ ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের বলেছেন, আওয়ামী লীগ স্বাধীনতা সংগ্রাম ও মুক্তিযুদ্ধে নেতৃত্বদানকারী সংগঠন।

আওয়ামী লীগ সভাপতি বঙ্গবন্ধুকন্যা শেখ হাসিনার আপসহীন নেতৃত্বেই দীর্ঘ স্বৈরশাসনের অবসান ঘটেছে এবং গণতন্ত্র পুনঃপ্রতিষ্ঠিত হয়েছে। এদেশের স্বাধীনতা-সার্বভৌমত্ব ও গণতন্ত্র একমাত্র আওয়ামী লীগের হাতেই নিরাপদ। এদেশের মানুষের অর্থনৈতিক মুক্তি ও গণতান্ত্রিক অধিকার প্রতিষ্ঠায় বাংলাদেশ আওয়ামী লীগ সর্বদা বদ্ধপরিকর।

শুক্রবার গণমাধ্যমে পাঠানো এক বিবৃতিতে তিনি এসব কথা বলেন। ‘সরকার জোর করে ক্ষমতায় টিকে থাকতে চায়’ মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীরের এমন অভিযোগ প্রসঙ্গে ওবায়দুল কাদের বলেন, আওয়ামী লীগ জনগণের রাজনৈতিক দল। জনগণের অধিকার প্রতিষ্ঠার জন্যই আওয়ামী লীগ সৃষ্টি হয়েছে এবং জনগণের আশা-আকাঙ্ক্ষা ঘিরেই পরিচালিত হয়েছে আওয়ামী লীগের রাজনৈতিক সংগ্রাম। আওয়ামী লীগ সব সময় জনগণের ম্যান্ডেট নিয়ে গণতান্ত্রিক প্রক্রিয়ায় ক্ষমতায় এসেছে। বিএনপির মতো বন্দুকের নলের মুখে কিংবা পিছনের দরজা দিয়ে ষড়যন্ত্রের মাধ্যমে কখনো ক্ষমতা দখল করেনি এবং করবেও না।

বিবৃতিতে তিনি আরও বলেন, এদেশের স্বাধীনতা ও সার্বভৌমত্বের সঙ্গে আওয়ামী লীগের সম্পর্ক ঐতিহাসিক ভাবে প্রমাণিত। জাতির পিতার নেতৃত্বে দীর্ঘ স্বাধীনতা সংগ্রামের মধ্য দিয়ে এদেশের মানুষের আত্মনিয়ন্ত্রণের অধিকার প্রতিষ্ঠিত হয়েছে। এদেশের মানুষের স্বাধিকার, স্বাধীনতা, মুক্তি, সার্বভৌমত্ব ও গণতন্ত্র প্রতিষ্ঠায় আওয়ামী লীগের লাখ লাখ নেতাকর্মী প্রাণ দিয়েছে। অপরদিকে বিএনপির সৃষ্টি এদেশের স্বাধীনতা-সার্বভৌমত্ব ও গণতন্ত্রকে হত্যার মধ্য দিয়ে স্বৈরশাসনের পটভূমিতে।

ওবায়দুল কাদের বলেন, বিএনপি যখনই ক্ষমতায় গিয়েছে তখনই মহান মুক্তিযুদ্ধের চেতনাবিরোধী কার্যক্রম পরিচালনা করেছে এবং পাকিস্তানি ভাবধারায় দেশ চালিয়েছে। মুক্তিযুদ্ধের আদর্শকে ভূলুণ্ঠিত করার পাশাপাশি স্বাধীনতা ও সার্বভৌমত্বকে বারবার হুমকির মুখে ফেলেছে। তারা সব সময় মুক্তিযুদ্ধের ইতিহাস বিকৃত করে জাতিকে বিভ্রান্ত করার অপচেষ্টা চালিয়েছে এবং দেশপ্রেমের বহ্নিশিখায় ঐক্যবদ্ধ প্রজন্ম গঠনে প্রধান অন্তরায় হয়ে দাঁড়িয়েছে।

তিনি বলেন, আমরা স্বাধীনতাবিরোধী যুদ্ধাপরাধী অপশক্তি, দুর্নীতি-দুর্বৃত্তায়ন জঙ্গিবাদ ও সন্ত্রাসের পৃষ্ঠপোষকদের হাতে জনগণের গণতান্ত্রিক অধিকারকে তুলে দিতে পারি না। এ দেশের মানুষের ভাগ্যোন্নয়ন, গণতান্ত্রিক অগ্রযাত্রা, অর্থনৈতিক উন্নয়ন ও সমৃদ্ধির অভিযাত্রাকে কাক্সিক্ষত অভিষ্টে পৌঁছাতে বঙ্গবন্ধুকন্যা শেখ হাসিনার কোনো বিকল্প নেই। শেখ হাসিনার নেতৃত্বে বাংলাদেশ একটি উদার প্রগতিশীল-গণতান্ত্রিক উন্নত-আধুনিক ও সমৃদ্ধ রাষ্ট্রে পরিণত হবে, ইনশাআল্লাহ।