ঢাকাশনিবার , ২৯ মে ২০২১

করোনাকালে গভীর সংকটে রাঙ্গামাটির পাহাড়ি তাঁতবস্ত্র শিল্প

প্রতিবেদক
Admin
মে ২৯, ২০২১ ৬:৩৮ অপরাহ্ণ

 রাঙ্গামাটি প্রতিনিধি করোনাকালে রাঙ্গামাটির পাহাড়ি তাঁতবস্ত্র শিল্প গভীর সংকটে পড়েছে। পর্যটকদের কাছে রাঙ্গামাটির পাহাড়িদের তৈরি পোষাক আর্কষনীয় হওয়ায় এর চাহিদা থাকে বেশি।

করোনার কারনে বছরজুড়ে লকডাউন আর পর্যটকের আগমনে নিষেধাজ্ঞা থাকায় রাঙ্গামাটিতে পর্যটক আসেনি। পাহাড়ি বস্ত্র বিপনীগুলোতে বেচা বিক্রি নেই। বাইরে পোষাকের অর্ডারও বন্ধ হয়ে যাওয়ায় পাহাড়ি তাঁতবস্ত্র ব্যবসায় ধস নেমেছে। দৃষ্টিনন্দন ডিজাইনে তৈরি পার্বত্য চট্টগ্রামের ঐতিহ্যবাহী পাহাড়িদের পোষাকের প্রতি দেশ বিদেশের পর্যটকদের বেশ চাহিদা রয়েছে। সাশ্রয়ীমূল্য এবং আকর্ষণীয় বুননের কারণে পাহাড়িদের তৈরী পোষাকের প্রতি মানুষের আগ্রহ বেশি।

স্থানীয় চাহিদা মিটিয়ে দেশের অন্যান্য স্থানেও সরবরাহ হয় নানা ধরনের পাহাড়ি বস্ত্র । রাঙ্গামাটির পাহাড়ি তাঁত শিল্প লাভজনক হয়ে উঠেছিল। কিন্তু বর্তমানে পাহাড়ি তাঁত শিল্প তার ঐতিহ্য হারাতে বসেছে।

করোনাকালে ব্যবসায় চরম মন্দা নেমে আসায় এবং সূতা ও শ্রমিক সংকট দেখা দেয়ায় রাঙ্গামাটির পাহাড়ি তাঁতবস্ত্র কারখানার উৎপাদন নিচে নেমে এসেছে ।

রাঙ্গামাটি।বনানী টেক্সটাইল ম্যানেজার বাপ্পী আসাম জানান কারখানাগুলোতে ন্যয্য মজুরী না পাওয়ায় রাঙ্গামাটি শহরের ১২ টি তাঁত কারখানায় প্রায় তিনশ শ্রমিক বেকার হয়ে পড়েছে। অনেক শ্রমিকই এখন অন্য পেশায় চলে গেছে। বনানী টেক্সটাইল সত্বাধিকারী  বাবলা মিত্র জানান, কারখানা গুলোতে শ্রমিকের পাশাপশি ও সূতার সংকটও দেখা দিয়েছে। এই বস্ত্র শিল্প রক্ষায় কোন পদক্ষেপ নেই। এ কারণে তাঁত মালিকরা এখন উৎপাদন কমিয়ে দিয়েছেন।

তাঁত মালিকরা জানান লুঙ্গী,পাঞ্জাবী, ত্রী পিছ ও গামছাসহ তাতেঁর তৈরী নানা পোষাকের ব্যাপক চাহিদা থাকায় কয়েকটি তাঁত কারখানা চালু রাখার চেষ্টা করা হলেও শ্রমিক ও সূতার অভাবে তা সম্ভব হচ্ছেনা। এ অবস্থা চলতে থাকলে পার্বত্য অঞ্চলের ঐতিহ্যবাহী এই বস্ত্র শিল্প হারিয়ে যাবে বলে আশাকা করেন উদ্যোক্তারা।

সর্বশেষ - অপরাধ