নিজস্ব প্রতিনিধি দীঘিনালা খাগড়াছড়ি রিজিয়ন কমান্ডার ব্রিগেডিয়ার জেনারেল মোহাম্মদ জাহাঙ্গীর আলম বলেছেন, পাহাড়ি বাঙালী নির্বিশেষে সব সময় পার্বত্য অঞ্চলে যেকোন ধরনের সাহায্য সহযোগিতার কাজে এগিয়ে এসেছে এবং ভবিষ্যতেও তা অব্যাহত থাকবে| তিনি আরো বলেন, পাহাড়ে কোন ধরণের সন্ত্রাসী চাঁদাবাজি সহ্য করা হবে না| শান্তি সম্প্রীতি রক্ষার্থে সবাই ঐক্য বদ্ধ হয়ে কাজ করতে চাই|
০১লা মে রবিবার দীঘিনালা উপজেলার ১ নং মেরুং ইউনিয়নের ৪নং ওয়ার্ড এর বেতছড়ি সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ে খাগড়াছড়ি রিজিয়ন এবং সেনা পরিবার কল্যাণ সংস্থার যৌথ উদ্যোগে অসহায় ও হতদরিদ্র পরিবারের মাঝে ত্রান বিতরন, এতিম ও অসহায় শিশুদের মাঝে পোষাক বিতরণ উপলক্ষে প্রধান অতিথির বক্তব্যে এসব কথা বলেন তিনি|
এসময় অন্যদের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন খাগড়াছড়ি রিজিয়ন কমান্ডার ব্রিগেডিয়ার জেনারেল মোহাম্মদ জাহাঙ্গীর আলম এর সহ ধর্মীনি এবং
সেপকস সহসভানেত্রী, মিসেস রাবেয়া জাহাঙ্গীর, দীঘিনালা জোনের জোন কমান্ডার সস্ত্রীক লেঃ কর্নেল চৌধুরী মোহাম্মদ ফাহিম আশরাফী ও মিসেস রেহনুমা মুনজুর এবং ১নং মেরুং ইউনিয়ন পরিষদ চেয়ারম্যান মাহমুদা বেগম লাকী |
ত্রান সমগ্রী ও পোষাক বিতরন শেষে ১ নং মেরুং এলাকার চেয়ারম্যান মাহমুদা বেগম লাকী বলেন বাংলাদেশ সেনাবাহিনী পাহাড়ি বাংগালি নির্বিশেষ এই এলাকার সাধারন মানুষের মুখে হাসি ফোটাতে বদ্ধ পরিকর।
মেরুং ইউপি সদস্য বাবু ঘনশ্যাম ত্রিপুরা বলেন বাংলাদেশ সেনাবাহিনী সুখে-দুঃখে সব সময় যেকোনো ধরনের সাহায্য সহযোগিতা প্রদানের মাধ্যমে আমাদের পাশে এসে দাঁড়িয়েছে, বাংলাদেশ সেনাবাহিনী|
এসময় দীঘিনালা উপজেলার বেতছড়ি সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় মাঠে ৬ শত পরিবারের মাঝে পোষাক ও ত্রাণ সামগ্রী বিতরণ ছাড়াও রিজিয়নের আওতাধীন তিন হাজার পরিবারের মাঝে পোষাক ও ত্রাণ সামগ্রী বিতরণ করা হয় |
উল্লেখ্য যে, দীঘিনালা উপজেলার ১ নং মেরুং ইউনিয়নের বেতছড়ি এলাকার অধিকাংশ মানুষ দরিদ্র ও অসহায়। এই এলাকায় পাহাড়ি বাংগালি নির্বিশেষে বসবাস করে। প্রত্যন্ত এই এলাকার বেশিরভাগ মানুষ কৃষিকাজ ও দিনমুজুরি করে জীবিকা নির্বাহ করে থাকে। বছরের এই সময়ে কৃষিজমিতে কোন কাজ না থাকায় সাধারন মানুষের জীবিকা নির্বাহ দূর্বিষহ হয়ে পড়েছে। এহেন পরিস্থিতি পর্যালোচনা করে খাগড়াছড়ি রিজিয়ন ও সেপকসের যৌথ উদ্যোগে মানবিক সহায়তা প্রদান করে।