ঢাকাসোমবার , ৩১ মে ২০২১

‘ভূষণছড়া গণহত্যা’র বিচারের দাবিতে রাঙামাটিতে মানববন্ধন

প্রতিবেদক
Admin
মে ৩১, ২০২১ ৪:৩৯ অপরাহ্ণ

নিজস্ব প্রতিনিধি রাংগামাটি :: মানববন্ধন ও প্রতিবাদ সমাবেশের মধ্যদিয়ে পার্বত্য জেলা রাঙামাটিতে পালিত হয়েছে ভূষণছড়া গণহত্যা দিবস। ১৯৮৪ সালের এই দিনে রাঙামাটি জেলার বরকল উপজেলার ভূষণছড়া ও তার পার্শ্ববর্তী এলাকার তৎকালীন শান্তি বাহিনীর সন্ত্রাসীদের হাতে নির্মমভাবে খুন হওয়া চার শতাধিক নীরিহ বাঙালী নারী-পুরুষকে নির্মমভাবে হত্যার পরবর্তী দীর্ঘ ৩৭ বছরের বিচার পায়নি নিহতদের স্বজনরা। নিহতের স্মরণে প্রতি বছর এই দিনটিতে বিভিন্ন প্রতিবাদ কর্মসূচী পালন করে হত্যাকারিদের গ্রেফতারের দাবি জানিয়ে আসছে পাহাড়ের বিভিন্ন সংগঠনগুলো।

সোমবার (৩১ মে) সকালে রাঙামাটি জেলা প্রশাসকের কার্যালয়ের সামনে বিভিন্ন ফেস্টুন ও ব্যানার নিয়ে অনুষ্ঠিত ঘন্টাব্যাপী মানববন্ধনে পার্বত্য চট্টগ্রাম নাগরিক পরিষদ রাঙামাটি জেলা শাখার সহ-সভাপতি আমির মোঃ সাবের এর সভাপতিত্বে ও পার্বত্য চট্টগ্রাম ছাত্র পরিষদের কেন্দ্রীয় কমিটির সিঃ সহ-সভাপতি মোঃ হাবিব আজমের সঞ্চালনায় প্রধান অতিথি হিসেবে বক্তব্য রাখেন, পার্বত্য চট্টগ্রাম নাগরিক পরিষদ রাঙামাটি জেলার সহ- সভাপতি কাজী মোঃ জালোয়া, বিশেষ অতিথি হিসেবে বক্তব্য রাখেন সাধারণ সম্পাদক মোঃ সোলায়মান, সাংগঠনিক সম্পাদক আবু বকক্কর সিদ্দীক, প্রচার সম্পাদক হুমায়ন কবির, জেলা নেতা মোঃ আজম, মোঃ হালিম, পার্বত্য চট্টগ্রাম মহিলা পরিষদ এর কেন্দ্রীয় সাংগঠনিক সম্পাদক মোর্শেদা আক্তার, কেন্দ্রীয় নেত্রী মনিকা আক্তার,পার্বত্য চট্টগ্রাম ছাত্র পরিষদ কেন্দ্রীয় কমিটির সহ- সাংগঠনিক সম্পাদক মোঃ মামুনুর রশীদ মামুন, প্রচার সম্পাদক মোঃ তাজুল ইসলাম, ছাত্র নেতা জাকির হোসেন, এটিআই এর মেধাবী ছাত্র রাহুল দত্ত সহ বিভিন্ন পর্যায়ের নেতৃবৃন্দ।

মানববন্ধন ও প্রতিবাদ সমাবেশে বক্তারা বলেন, ভূষণছড়া গণহত্যাসহ অসংখ্য বর্বরোচিত ঘটনার শিকার হয়েছে পার্বত্য অঞ্চলের বাঙালীরা। কিন্তু আজ পর্যন্ত কোন হত্যাকান্ডের বিচার করা হয়নি। উল্টো পাহাড়ে প্রতিনিয়ত অবৈধ অস্ত্র ও সন্ত্রাসী কার্যক্রমের সংখ্যা দিন দিন বৃদ্ধি পাচ্ছে। সাধারণ পাহাড়ী ও বাঙালী উভয়ই এই সকল সন্ত্রাসীদের অব্যাহত হত্যা, চাঁদাবাজি ও নির্যাতনে অতিষ্ঠ। তাই পাহাড়ে কাঙ্খিত শান্তির সুবাতাস ফিরিয়ে আনতে পাহাড়ে অবৈধ অস্ত্রের ঝনঝনানী, হত্যা, গুম,খুন, ধর্ষণ ও চাঁদাবাজির বিরুদ্ধে এখনই রাষ্ট্রীয় পদক্ষেপ গ্রহন করতে হবে।

বক্তারা আরো বলেন, কাগজে কলমে শান্তিবাহিনী না থাকলেও পার্বত্য চট্টগ্রামে সশস্ত্র সংগঠনগুলোর দৌরাত্ম থেমে নেই। তাদের হাতে বাঙালীরা যেমন হত্যার শিকার হচ্ছে, তেমনি নিহত হচ্ছে পাহাড়ী জনগোষ্ঠীগুলোর মানুষজন। পাহাড়ের সশস্ত্র সন্ত্রাসী সংগঠন জেএসএস ও ইউপিডিএফ এর সন্ত্রাসীরা পাহাড়ের সকল জনগোষ্ঠীকে কোণঠাসা করে রেখেছে। তারা এখন পাহাড়ের সাধারণ মানুষের কাছে মুর্তিমান আতংক। কখন কার উপর তারা আক্রমন চালাবে তা নিয়ে আতংকে থাকে প্রতিনিয়ত পাহাড়ের সাধারণ মানুষ।

তাই পার্বত্য এলাকায় শান্তি আনয়নের জন্য অবিলম্বে ভূষণছড়া গণহত্যাসহ পার্বত্য চট্টগ্রামে জেএসএস ও ইউপিডিএফ এর সন্ত্রাসী কর্তৃক সকল হত্যাকান্ডের বিচার ও প্রত্যাহারকৃত সেনাক্যাম্প পুনঃস্থাপনে সরকারের কাছে জোর দাবী জানান নেতৃবৃন্দরা।

সর্বশেষ - অপরাধ

আপনার জন্য নির্বাচিত

খাগড়াছড়ির ১০হাজার পরিবার পাচ্ছে প্রধানমন্ত্রীর খাদ্য উপহার

সাজেক ও বাঘাইছড়িতে ১০প্লাটুন বিজিবি মোতায়ন

সেতু ‍ঝুকিতে পারাপার

বাঘাইছড়িতে একটি সেতুর অভাবে দূর্ভোগে হাজারো মানুষ ! জীবন ঝুঁকি নিয়ে যাতায়ত

সীতাকুণ্ডে বিস্ফোরণে নিহতের সংখ্যা বেড়ে ৪৯

সাজেকের ক্যান্সার আক্রান্ত আনন্দ লাল চাকমার চিকিৎসা হচ্ছে না টাকার অভাবে

দীঘিনালায় অগ্নিকাণ্ডে ক্ষতিগ্রস্থ ব্যবসায়ীদের মাঝে সেনাবাহিনীর ত্রাণ সামগ্রী বিতরণ 

সাজেকের দূর্গম লক্ষীছড়িতে বিনামূল্যে চিকিৎসা সেবা ও ঔষধ বিতরণ করেছে সেনাবাহিনী

সাজেক সীমান্ত সড়কে ড্রাম ট্রাক পাহাড়ি খাদে পড়ে ৬ শ্রমিক নিহত

করোনায় দীঘিনালা উপজেলা বিএনপি সভাপতির ইন্তেকাল 

দীঘিনালায় বিষপানে যুবকের মৃত্যু