রাঙ্গামাটি প্রতিনিধি: “জলাতঙ্ক ভয় নয়, সচেতনতায় জয়”- এ প্রতিপাদ্যকে সামনে রেখে রাঙ্গামাটিতে মঙ্গলবার বিশ্ব জলাতঙ্ক দিবস পালন করা হয়েছে। বিশ্ব জলাতঙ্ক দিবস উপলক্ষ্যে গতকাল সকালে রাঙ্গামাটি প্রাণী সম্পদ বিভাগের আসামবস্তী জেলা কার্যালয়ে আলোচনা ও র্যালির মাধ্যমে দিবসের কর্মসূচি পালন করা হয়। সকালে প্রাণিসম্পদ দফতরের সামনে থেকে র্যালি বের হয়ে গুরুত্বপূর্ণ সড়ক প্রদক্ষিণ করে জেলা প্রাণিসম্পদ কার্যালয়ের কনফারেন্স রুমে দিবসটির তাৎপর্য তুলে ধরে আলোচনা অনুষ্ঠিত হয়। রাঙ্গামাটি জেলা প্রাণী সম্পদ কর্মকর্তা বরুন কুমার দত্তের সভাপতিত্বে বিশেষ অতিথি ছিলেন হাঁস-মুরগী খামারের ব্যবস্থাপক আশরাফুল আলম, জেলা প্রাণী হাসপাতালের ভেটেরিনারী সার্জন ডা দেবরাজ চাকমা। সভায় অন্যান্যদের মধ্যে অংশ নেন উপ সহকারী প্রাণিসম্পদ কর্মকর্তা কমল মণি চাকমা, সুলাল খীসা ও আবু তাহের। অনুষ্ঠান সঞ্চালনায় ছিলেন , উপ সহকারী প্রাণিসম্পদ কর্মকর্তা রতন কুমার দে। এর আগে র্যালীতে প্রাণী সম্পদ দপ্তরের কর্মকর্তা কর্মচারীরা অংশ নেন। বক্তারা বলেন, জলাতংক এ রোগে ৯০ ভাগই আক্রান্ত হয় কুকুরের কামড়ে। তাছাড়াও বিড়াল, শেয়াল, বেঁজি ও বানরের কামড়েও এ রোগ হয়ে থাকে। আক্রান্ত কুকুর, বিড়াল, শিয়াল ও অন্যান্য বন্য প্রাণীর লালায় এ রোগের ভাইরাস থাকে। এসব প্রাণীর কামড়ে ভাইরাসটি ক্ষতস্থান থেকে মস্তিষ্কে সংক্রমিত হয় এবং এতে স্নায়ুতন্ত্রের নানা রকম জটিল উপসর্গ দেখা দেয়। ফলে রোগী পক্ষাঘাতগ্রস্থ হয়ে শ্বাস ও হৃদযন্ত্রের ক্রিয়া বন্ধ হয়ে মৃত্যুবরণ করে। তবে আশার কথা হলো সঠিক সময়ে ভ্যাকসীন গ্রহণের মাধ্যমে জলাতংক শতভাগ প্রতিরোধযোগ্য। এ জলাতংক রোগ থেকে রক্ষা পেতে হলে সঠিক সময়ে ভ্যাকসীন নিতে হবে। এছাড়া পেট এনিমেলের জন্য প্রতি বছর একবার ভেকসিন নেওয়া জরুরি। এজন্য জনসচেতনতা বাড়ানো প্রয়োজন। আগামী ২০৩০ সালের মধ্যে জলাতংক নির্মূল করে শুন্যের কোটায় আনতে সবাইকে প্রচেষ্টা নেওয়ার উপর গুরুত্বারোপ করা হয়।